ভারত এবং বাংলাদেশের কয়েক মিলিয়ন মানুষ এই সুপার ঘূর্ণিঝড়ের পথে রয়েছে যা ৩৬ ঘণ্টারও কম সময়ে স্থল-পতন ঘটাবে, ইতিমধ্যে করোন ভাইরাস মহামারী নিয়ে লড়াই করা এই দুটি অঞ্চল এই অত্যাধিক বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের মুখোমুখি হবে।
মার্কিন যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুপার সাইক্লোন আম্ফান সোমবার রাতে বঙ্গোপসাগরে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হয়ে ওঠে, টানা বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ১৬৫ মাইল) গতিবেগে এই সাইক্লোন স্তলে আছড়ে পড়তে পারে ।
আম্ফান কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও, ঝড়টি এখনও ২৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় (১৫০ মাইল /ঘন্টা) বাতাসের সাথে আঘাত হানবে যেটি কিনা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের শক্তিশালী আটলান্টিক হারিকেন বা একটি সুপার টাইফুনের সমতুল্য।
সাইক্লোনটি এখন বঙ্গোপসাগর যার পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিমে ভারত, উত্তরে বাংলাদেশ এবং পূর্বে মিয়ানমারের মধ্যে অবস্থিত।
১৯৯৯ সালের পর থেকে আম্ফান হ'ল বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানা দ্বিতীয় সুপার ঘূর্ণিঝড়। ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ সুপার ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রায় ১৫,০০০ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং প্রায় ১০,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় এই সুপার ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের কলকাতা শহর এবং বাংলাদেশ সীমান্তে অবতরণ করতে চলেছে, যেখানে ১৪ কোটিরও বেশি লোক বাস করে।
তথ্যসূত্র: সি এন এন (CNN)
0 Comments