বান্দরবান ! বাংলাদেশের একখন্ড স্বর্গ । যে স্বর্গের স্পর্শ পেতেই ভ্রমণপিয়াসীরা প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে এই স্বর্গরাজ্যে। ছুটে চলছে পাহাড় থেকে পাহাড়ে। দিগন্ত জুড়ে যে সীমান্ত শেষ সেখানেই মিলিত দূরের ঐ পাহাড়। তেমনি এক উষ্ণ আবহাওয়ায় "ইকোট্যুরিজম" ক্লাবের যাত্রা এই ভূস্বর্গের খোঁজে। উদ্দেশ্য ছিল খুমের জগতে হারিয়ে যাওয়া। খুম পাহাড়ি শব্দ যার অর্থই হল পাহাড়ের খাজ বেয়ে গড়িয়ে পড়া পানি যেখানে জমাট থাকেই ওটাই""খুম"। বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন 


নিয়ত ছিল সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে হাতিয়া যাব। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে লঞ্চ ছাড়া হল না। তাই নিয়তও পূর্ণ হলো না। যাত্রা শুরু তাই সড়ক পথে।
এ কে খান থেকে শাহী বাসে যাত্রা শুরু নোয়াখালী হয়ে চেয়ারম্যান ঘাটা পর্যন্ত। চেয়ারম্যান ঘাটা থেকে এইবার মেঘনার মোহনা পাড়ি দিয়ে পৌছালাম হাতিয়ার নলছিড়া ঘাটে। চট্টগ্রাম থেকে আসা লঞ্চটি এই নলছিড়া ঘাটেই থামতো। দুপুরের খাবার শেষ করে জীপে করে রওনা দিলাম মোক্তারিয়া ঘাটে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় দেড় ঘন্টার পথ আড়াই ঘন্টা লাগলো এই ঘাটে পৌছাতে। নদী পাড় হয়ে নিঝুম দ্বীপে প্রবেশ করলাম। কিন্তু যেতে হবে নিঝুম দ্বীপের অপর প্রান্তে।  কনকন শীতে বাইকে করে ৩০মিনিট যাত্রা করে পৌছালাম নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত নামার বাজারে। তখনি সন্ধ্যা গড়িয়ে এল।বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন 



সীমান্ত যেখানে শেষ, গন্তব্য এবার সেখানেই। উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গোপসাগর ঘেসে থাকা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হয়ে শাহপরীর দ্বীপ এবং পর্যায়ক্রমে মহেশখালী হয়ে সোনাদিয়া দ্বীপে। পূর্বে মায়ানমারের মংডু পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর নিয়ে নাফ নদীর মোহনায় ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ। যতটুকু চোখ যায় নীলাভ সাগর আর অথই পানি। হালকা ঝাপসা হলেও কুয়াশা থাকেনি তাই দেখা মিলে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনও। গভীর সাগরে মাছ ধরা, লবন চাষসহ, কৃষিকাজই এই দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা। লোনা পানির দ্বীপ হলেও ডাবের পানি আর টিউবওয়েলের পানি দুটির স্বাধই সুপেয়। যারা যান ডাব না খেয়ে আসবেন না। আমরাও মিস করিনি। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে সবাই দিয়ে আসলেও আমরা খেয়ে আসলাম ডাব। যদিওবা তারা অনেক প্রবীণ রোহিঙ্গা আর ডাবের দরটা ছিল নিতান্তই অনেক কম। দ্বীপের পশ্চিম পাশ ধরে হাটলে দেখা মিলবে স্থানীয়দের শুটকি তৈরির প্রক্রিয়া। খালের পানি দিয়ে জমিতে প্রবেশ করিয়ে চাষ হয় লবনের। চোখ যতটুকু যায় চোখে পরে লবনের চাষ আর লবনস্তুপ। গাংচিল ছিল প্রতিটা পথের নৃত্যরত সাথী। সন্ধ্যা গড়িয়ে সূর্যাস্ত হল অতঃপর প্রস্তুত পূর্ণিমা উপভোগের।বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন 



ঝরঝরি ঝিড়ি অতঃপর গুলিয়াখালীতে সমুদ্রস্নান



ক্লাবের নিয়মিত ইভেন্টের মধ্যে এটি ছিল ১২৪তম ইভেন্ট। প্রায় দুবছর পর আবারো সীতাকুণ্ড-মীরসরাই পাহাড়শ্রেণী। ১৫জন সদস্য নিয়ে রওনা। পাহাড় হতে পাহাড়, ঝিড়ি হয়ে কুম আর লাফালাফি। প্রতিটা পথ ছিল বন্ধুর। দিনভর ছিল এই পাহাড় ডিঙিয়ে ঐ পাহাড়। বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন 


সোনারগাও,পানামনগর আর মেঘনার চরে সারাদিন


ভোরটা শুরু হয় পাঁচ পীরের দরবার এবং বাংলার স্বাধীন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ এর দরগাহ্ জিয়ারতের মাধ্যমে । পূর্ব আকাশে তখনো কালো মেঘের ভেলা, আকাশ-মেঘের বুক ভেদ করে যখন দিনের আলো পৃথিবীতে প্রবেশ করতে শুরু করল তখনি টিমের যাত্রা শুরু ঐতিহাসিক গোয়ালদি মসজিদ, স্বাধীন সোনারগাঁ এর সুলাতানি নিদর্শন সংরক্ষিত যাদুঘর, প্রাচীন মন্দির-মঠ, বৈদেশিক অর্থায়নে নির্মিত প্রথম বাশ-কাঠের তৈরি স্কুল "সুবর্নগ্রাম ফাউন্ডেশন/ঋষিপুর স্কুল", ঐতিহাসিক পানাম নগরীর স্বাধীন বাংলার স্থাপনা আর সন্ধ্যায় মেঘনার বুকে বুকে জেগে উঠা চরে সূর্যাস্ত উপভোগ।


রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ-কানসাট-সোনা মসজিদ স্থলবন্দর।

ঢাকা/চট্টগ্রাম থেকে যেকোন বাসে সরাসরি চাপাইনবাবগঞ্জ সদর। চাপাইনবাবগঞ্জ শান্তির বাজার থেকে বাসে/অটো/টমটম করে সোজা কানসাট বাজারে ভাড়া নেবে জনপ্রতি ৩৫টাকা । বাজারের পাশেই কূজ জমিদার বাড়ি । দেখে স্থানীয় বাজারে ঘুরতে পারেন যে বাজারটি আম এবং গরুর হাট হিসেবে বিখ্যাত, এখানে পাবেন শিবগঞ্জের বিখ্যাত মিষ্টি চমচম সহ বিভিন্ন মিষ্টিজাত ভান্ডার।
তারপর যেকোন বাস কিংবা টমটম করে চলে যাবেন সোনা মসজিদে। মসজিদ কমপ্লেক্সের সামনে নামিয়ে দিবে। সোনা মসজিদ ঘুরার সময় একটু পবিত্রতা রক্ষা করে চলুন, থ্রি-কোয়াটার/হাফ প্যান্ট পরে না ঢুকলেই ভাল।  বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন