বৈশাখের তাপদাহ সহ্য করে চলে গেলাম খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায়। পাহাড়ি উচুনিচু বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে খাগড়াছড়ি যখন পৌঁছালাম তখনই দুপুর গড়িয়ে এল।
দুপুরের খাবার শেষ করে প্রিন্স ভাইয়ের দিকনির্দেশনায় প্রথমে আশেপাশের রামগড় লেক্‍, উপজেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ইতিহাস সমৃদ্ধ অনেক ভাষ্কর্য দেখে চলে গেলাম ফেনী নদীর পাদদেশে যেখানে দাড়িয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সকল ন্যাচারাল ভিউ অনায়াসে উপভোগ করা যায়। টিয়া, কোকিল এবং আরো বিভিন্ন প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য এই জায়গাটা এত মুগ্ধকর যে পিছু টান থেকেই যায়।
তারপর চলে গেলাম বাংলাদেশের একমাত্র ত্রিমুখি ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম, স্থানীয়রা যেটাকে 'কলসির মুখ'  নামে অবহিত করেছে । যেই সীমান্তের ধরন হুবুহু কলসীর মত। কলসীর  বাহিরপাশ ভারত এবং কলসির মধ্যখানে বাংলাদেশ । অবশ্যই এই বর্ডার লাইনগুলো বছরে একবারই অর্থাৎ হিন্দুদের ধর্মীয় 'বারুনীর স্নান' চলাকালীন খুলে দেওয়া হয়।

তখনই ভারত কিংবা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মানুষ এপার -ওপার গিয়ে কেনাকাটা কিংবা ঘুরে আসতে পারে। ওখান থেকেই ফিরে রাতের ক্যাম্পিং এর জন্য তাবু কাটিয়ে নিলাম । রাত কাটলো ভোর হল অতঃপর আবারো নতুন দিনের যাত্রা শুরু ।

কিভাবে যাবেন চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা থেকে বারিয়ারহাট নেমে রামগড় যেতে পারে ন। যাওয়ার পথে হেয়াকো রাবার বাগান এবং চা বাগান থেকে রামগড় পৌঁছাবেন।